বলছি এমন এক মহান ব্যক্তির কথা  যিনি দুনিয়ার বিনিময়ে আখেরাত ক্রয় করেছেন সমস্ত লোভ লালসা এবং অন্যান্য সবকিছু চাইতে তিনি আল্লাহ ও তার রাসূলকে অগ্রধিকার দিয়েছেন। জীবনে সবচাইতে বেশি আল্লাহর রাসূলকেই ভালোবেসেছেন এবং দিনের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে।
আপনি কি জানতে চান কারা আমাদের জীবনের জন্য অনুপ্রেরণা? কে আমাদের জীবনের অনুপ্রেরণা? জীবনের জন্য অনুপ্রেরণা বলতে কি বুঝায় ?জীবনের জন্য অনুপ্রেরণা কথাটি কি? সকল প্রশ্ন সমাধান পেয়ে যাবেন আর্টিকেলে।

রাসূলুল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অন্যতম সাহাবী খুবাইব ইবনে আদি রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে মক্কার কুরাইশ নেতারা বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে  বন্দী করে তানঈম নামক স্থানে নিয়ে গিয়ে অত্যন্ত নির্মম ও অমানুষিক অত্যাচারের মাধ্যমে হত্যা করে। 
জীবনের জন্য অনুপ্রেরণা




সাঈদ ইবনে আমির আল জোমাহি  ছিল মক্কার সেই সব যুবকদের অন্যতম যারা কুরাইশ নেতাদের আহ্বানে এই নির্মম ফাঁসির দৃশ্য দেখতে গিয়েছিল।জীবনের জন্য অনুপ্রেরণা তিনি।
খুবাইব রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর উপর কুরাইশ নেতৃবৃন্দ অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েও তাকে ইসলাম থেকে বিকৃত করতে পারেনি । কুরাইশ নেতৃবৃন্দ অমানসিক নির্যাতন চালিয়ে যাওয়া থাকে ইসলাম থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি পরিশেষে তারা তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে নির্মমভাবে হত্যার মাধ্যমে বদর যুদ্ধের প্রতিশোধ গ্রহণ করে।জীবনের জন্য অনুপ্রেরণা মহান  সাহাবি।

তারুণ্য উচ্ছল সাঈদ ইবনে আমের আল জোহামি পুরুষদের প্রচন্ড বিকেলে আবু সুফিয়ান ইবনে ওমর রাজনীতিবিদদের পাশে গিয়ে উপস্থিত হয়ে খুবাইব রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর শাহাদাতের দৃশ্য দেখতে গিয়েছিল যা ছিল অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ও মর্ম স্পর্শী ।মঞ্চের দিকে অগ্রসরকালে মক্কার নারী পুরুষ ও যুবকদের দল তাকে নারী পুরুষ শিশু যুবক সকলের তাকে ধাক্কা দিতে থাকে ।উপস্থিত নির্মম জনতা করতালি দিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। সাঈদ ইবনে আমের একটি উঁচু পিলায় দাঁড়িয়ে এই নির্মম দৃশ্য দেখে।  আজ এই হত্যার মাধ্যমে মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি তাদের সীমাহীন  বিরোধিতার  চরিতার্থ করেছে এবং বদরের যুদ্ধে তাদের নিহতদের হত্যার প্রতিশোধ নিচ্ছে।জীবনের জন্য অনুপ্রেরণা তিনি।

 ফাঁসির মঞ্চে উপস্থিত করেছে কাফিরদের জিগাঙ্গার মন  খুবাইব ইবনে আদি রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে ফাঁসির  নেশায় উন্মাদ হয়ে উঠলো ।চারিদিকে হিংস্র ও বরবর উল্লাসে ফেটে  পড়লো ।আল্লাহর রাহে  নিবেদিত ঈমানী চেতনায় বুলিয়ান খুবাইব ইবনে আদি রাদিয়াল্লাহু তা'আলা  আনহু  আল্লাহ তা'আলা আনহু আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ল ।কাফেরদের এই নির্মম নির্যাতনে তিনি বিন্দুমাত্র বিচলিত হন নি । প্রচন্ড শোরগোলের মাঝে হঠাৎ দীপ্ত কণ্ঠ থেকে একটি শান্ত ও দীর্ঘস্থির শক্তিতে বলিয়েন আওয়াজ বের হল।জীবনের জন্য অনুপ্রেরণা।
"তিনি বললেন তোমরা অনুমতি দিলে ফাঁসি দেওয়ার আগে আমি দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে চায়"
এ কথা শুনে সাঈদ প্রবল আগ্রহী ফাঁসির মঞ্চের দিকে তাকালো এবং দেখতে পেলি খুবাইব ইবনে আদি রাদিয়াল্লাহু তা'আলা  আনহু  কেবলামুখী হয়ে দু রাকাত নামাজ আদায় করেছেন। কি সুন্দর? তার সেই নামাজের দৃশ্য ।স্বল্প পরিসরে তিনি দু রাকাত নামাজ আদায় করে উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে বললেন আল্লাহর শপথ আমি মৃত্যুর ভয়ে  নামাজ দীর্ঘায়িত করছি না তোমরা এ ধারণা করবে বলে মনে না হলে আমি আমার নামাজ আরো দীর্ঘ করে পড়তাম।জীবনের জন্য অনুপ্রেরণা ।

খুবাইব ইবনে আদি রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর এই দীপ্ত ঘোষণার পরপর কাল বিলম্ব না করে মক্কার কাফেররা তার ওপর আবার পাশবিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে দিল।
 তার  দেহ থেকে প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ একের পর এক কেটে কেটে বিচ্ছিন্ন করার মাধ্যমে  বর্বর নির্যাতন চালালো। 

স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য তারা বলতে থাকে তুমি কি রাজি আছো যদি তোমাকে ছেড়ে দিয়ে তোমার ওই উপস্থিতিতে মোহাম্মদকে হত্যা করি?জীবনের জন্য অনুপ্রেরণা।
তার শরীর থেকে ভীষণভাবে রক্তপাত হচ্ছিল । তিনি বললেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হত্যার বিনিময়ে আমি মুক্তি পেয়ে আমার পরিবার-পরিজনের নিকট নিরাপদে ফিরে যাওয়া তো দূরের কথা পথে হেটে যেতে তার পায়ের একটি কাটা আঁচড় লাগবে এটি আমি সহ্য করতে পারি না ।মুনাফিকি জীবন থেকে শহীদি মৃত্যু অনেক ভালো। 
তার এই ঈমানী চেতন আদিত্যদের তুহিন ঘোষণা শুনে আগুনে গীতা হুতি দিলে যেমন হয় তেমনি উশৃংখল কাফিরেরা উন্মুক্ত হয়ে উঠবে এবং চিৎকার করে বলতে শুরু করল তাকে হত্যা করা তাকে হত্যা করো।জীবনের জন্য অনুপ্রের।
সাথে সাথে ফাঁসি জান্নাতের পথযাত্রী খোবায়েব রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর উপরে সদল বলে ঝাঁপিয়ে পড়ল কাফেররা। তীর , বর্ষা আর খনজরের আঘাতের তার দেহকে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলল। এদিকে আল্লাহর পথে যাচ্ছে এসময় তিনি কালিমা শাহাদাত  উচ্চারণ করছেন এবং বলছেন আল্লাহ তুমি এদের দেখে রেখো, এদের শক্তি ও প্রতিপত্তিকে ধ্বংস করে দাও কাউকে ক্ষমা করো না এক এক করে এদের সবাইকে শেষ করে দাও।জীবনের জন্য অনুপ্রের।
এ কথা এ কথাগুলো বলতে গিয়ে তিনি শাহাদতের পাক পেয়ালা পান করে মহান প্রভুর দরবারে চলে গেলেন।

Post a Comment

আসসালামু আলাইকুম
আপনাদের সকলকে আমাদের রাইটার ফারুকী ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আন্তরিক মোবারকবাদ ও শুভেচ্ছা ।আমরা বর্তমান আধুনিকতা নামক অশ্লীলতা এবং বেহায়াপনার বিরুদ্ধে ইসলামের পক্ষে কাজ করার সুদূর প্রসারীর চিন্তা ভাবনা এবং অপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি ।সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্যকে মানুষের কাছে ফুটিয়ে তোলা এবং ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব মহত্ব মানব মনে স্থাপন করে দুর্নীতি এবং অপরাধমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখি আমরা ।আমরা বিশ্বাস করি খোলাফায়ে রাশেদিনের চেতনার অনুরূপ চরম এবং তীব্র দায়িত্ব অনুভূতি জাগ্রত করার মাধ্যমে সমাজের নেতৃত্বে যোগ্য ব্যক্তিদের পদার্প সম্ভব। আমরা চাই তোমাদের মত যুব সমাজ আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে ইসলামের সুমহান বাণীকে পৃথিবীবাসীর কাছে পৌঁছে দেবে। আমাদের সহযোগী তোমরাই হবে আমরা চাই আমাদের সাথে এবং আমাদেরকে সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা করুন ।তোমাদের মতামত আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা।

أحدث أقدم

আর্টিকেল লিখে টাকা উপার্জন করতে চান? যোগাযোগ:ikramulfahim.tmkm@gmail.com

بحث هذه المدونة الإلكترونية

প্রত্যেকটি পোস্ট আপনাকে জানতে সহযোগিতা করবে

নিচের পোস্টে ক্লিক করে বিস্তারিত পড়ুন