কয়েক বছর আগের কথা ঘটনাটি নারায়ণগঞ্জ শহরে ঘটেছিল নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম এর আইনজীবী এবং আরও সাতজন কে নৃশংসভাবে হত্যা করে সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল হত্যাকারীরা।ফিরে দেখা সাত খুন
হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে ব্যাপক উত্তেজিত জনতা সন্দেহজনক কয়েকজনকে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। পরে তাদের খবর নিয়ে বেরিয়ে আসে যে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন অনেক সরকারি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোক। যা নিয়ে শোরগোল দেশের সীমানা ছাড়িয়ে যায়।ফিরে দেখা সাত খুন
হত্যাকাণ্ডের আসামিদের মধ্যে প্রধান ছিলেন আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেন। পালিয়ে যাওয়া নিয়ে এবং সংসদ সদস্য একে এম শামীম ওসমানের ফোনালা প্রকাশ হলে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা উঠে। নূর হোসেন পরে ভারত ধরা পড়েন। পরবর্তীতে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়।
হত্যাকাণ্ডে নিহতদের করা দুটি মামলায় ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে অভিযোগ পত্র দেওয়া হয় । শুনানির পর আদালতের বিচারক এবং পরবর্তীতে সোমবার রায় ঘোষণা করে।ফিরে দেখা সাত খুন
বাংলাদেশের অন্যতম সুপ্রাচিত্র নদী শীতলক্ষ্যায় যখন লাশ ভেসে ওঠে তখন হাত-পা বাঁধা ছিএ। ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখ নারায়ণগঞ্জের আদালত মামলায় হাজিরা দিতে যান সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র তৎকালীন নজরুল ইসলাম। নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম এলাকা থেকে অপহরণের শিকার হন তারা পাঁচজন। সময়টি একই ছিল আরো অপহরণের শিকার হন গাড়িতে থাকা আইনজীবীর চন্দন সরকার ও তার ড্রাইভার। পরবর্তী দিন নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ওয়ার্ল্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন সহ ছয় জনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় অপর্ণা মামলা দায়ের করে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।ফিরে দেখা সাত খুন
এরকম ভয়াবহ খুন বাংলার মানুষকে বহুবার কাঁদিয়েছে জর্জরিত করেছি বাংলার মানুষের হৃদয় আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রতি এনেছে আঘাত মানুষের মাঝে তৈরি করেছে উদ্বিগ্ন কুত্তা এবং তৈরি করেছে আতঙ্ক যার ফলশ্রুতিতে মানুষ একে অপরের প্রতি বিশ্বাস এবং যার ফলে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের প্রতি তৈরি হয়েছে অনাস্থর ।
অপহরণের ঘটনা পরবর্তী সময়ে জেলার সকল এসআইকে অন্য জায়গায় বদলি করা হয় এবং জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার ফতুল্লা সিরাজগঞ্জ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেউ বদলি করা হয়
এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখে বিকেল বেলায় শীতলক্ষ্যা নদীর অন্যতম এলাকা তালগাছিয়া শান্তিনগর থেকে নজরুল এবং তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন এবং তাজুল ইসলাম গাড়ি চালক জাহাঙ্গীর আলম এবং চন্দন আইনজীবী কে হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়।ফিরে দেখা সাত খুন
নজরুল ইসলামের জানাজা পরবর্তী সময়ে উত্তেজিত জনতা কিছু কাজ করে বসে
জনতা প্রথমে সকালে কাউন্সিলর নূর হোসেনের কার্যালয় এবং ভারতের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মোহাম্মদ ইয়াসিনের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে অসামান্য কার্যালয় সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেয়।ফিরে দেখা সাত খুন
আজ বাংলার মানুষ আতঙ্কে থাকে হয়তো কোন সময় নিজের প্রাণ চলে যাবে কোন এক ঘাতকের ধাঁধা বাংলার মানুষের সকল ঘটনার সাক্ষী হয়ে খুবই আতঙ্কিত এবং দ্বিধা গ্রস্থ এসকল পরিস্থিতির সম্পূর্ণ বিচার এবং চূড়ান্ত নির্যাস জানা উচিত বাংলার তরুণ এবং যুব সমাজ যেন এগুলো থেকে উত্তীর্ণ হয়ে দেশে যাত্রী গঠনে কাজ করতে পারে এটাই আমার প্রত্যাশা।ফিরে দেখা সাত খুন
![]() |
| ফিরে দেখা সাত খুন |
ঘটনার ধারাবাহিকতায় কোন এক সময় র্যাব কেউ এইটার সাথে জড়িয়ে নেয়া হয় এবং র্যাবের ৩ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় এবং অভিযোগে বলা হয় সাত কোটি টাকার বিনিময়ে এ ঘটনাটি করেছে তিনজন কর্মকর্তা।ফিরে দেখা সাত খুন
পরের তারেক সাইফ এবং মেজর আরেক হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে রানা কেউ পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয় এবং ভারতে নূর হোসেন কে গ্রেফতার করা হয় এবং সময়ের চলার কিছু দিন পর তাকেও বাংলাদেশ পুলিশের কাছে অবস্থান করা হয়। পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে বিচারক নূর হোসেনকে জেল হাজতে পাঠান।ফিরে দেখা সাত খুন
২৫ জন ব্যক্তিকে হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এবং পরবর্তীতে দেখা যায় গ্রেফতারকৃত ২৩ জনের মধ্যে ১৭ জন র্যাব সদস্য। পলাতক ছিল যে সকল ১২ জন তাদের মধ্যে আট জনকে র্যাবের সদস্য বলা হয়।ফিরে দেখা সাত খুন
যাইহোক পরবর্তীতে বিচারকার্য সম্পাদন হয়। এ ঘটনাগুলো আজকে এজন্য আলোচনা করা হলো যেন বাংলাদেশ এ ধরনের ঘটনা পরবর্তীতে না ঘটে সেজন্য ছাত্র সমাজের সচেতন থাকতে হবে ।এবং নতুন বাংলাদেশ করার স্বপ্ন দেখতে হবে মনে রাখতে হবে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা মুক্ত হয়েছি এখন আমাদের কাজ শুধু সামনে এগিয়ে চলা পিছনে তাকানোর সময় আমাদের নেই দেশ ও জাতি গঠন করার জন্য এ ধরনের ঘটনা পরিহার করে উন্নত চরিত্রের অধিকারী হতে হবে এবং দেশর জাতিকে নেতৃত্ব দিতে হবে।ফিরে দেখা সাত খুন

إرسال تعليق
আসসালামু আলাইকুম
আপনাদের সকলকে আমাদের রাইটার ফারুকী ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আন্তরিক মোবারকবাদ ও শুভেচ্ছা ।আমরা বর্তমান আধুনিকতা নামক অশ্লীলতা এবং বেহায়াপনার বিরুদ্ধে ইসলামের পক্ষে কাজ করার সুদূর প্রসারীর চিন্তা ভাবনা এবং অপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি ।সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্যকে মানুষের কাছে ফুটিয়ে তোলা এবং ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব মহত্ব মানব মনে স্থাপন করে দুর্নীতি এবং অপরাধমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখি আমরা ।আমরা বিশ্বাস করি খোলাফায়ে রাশেদিনের চেতনার অনুরূপ চরম এবং তীব্র দায়িত্ব অনুভূতি জাগ্রত করার মাধ্যমে সমাজের নেতৃত্বে যোগ্য ব্যক্তিদের পদার্প সম্ভব। আমরা চাই তোমাদের মত যুব সমাজ আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে ইসলামের সুমহান বাণীকে পৃথিবীবাসীর কাছে পৌঁছে দেবে। আমাদের সহযোগী তোমরাই হবে আমরা চাই আমাদের সাথে এবং আমাদেরকে সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা করুন ।তোমাদের মতামত আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা।