মহান আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন এবং এই জমিনে তাদের জন্য রিজিকের ব্যবস্থা করেছেন। রিজিক পরিপূর্ণ করেছেন যাতে মানুষের সংকটে না পড়ে কিন্তু বর্তমান বিশ্বের দিকে তাকালে মনে হয় মহান রব গুটিকয়েক গুষ্টির জন্য এই সম্পদ দিয়েছেন। আজ আমাদের চারদিক থেকে ভেসে আসে মৌলিক অধিকার বঞ্চিত মানুষের চিৎক।আধুনিক সভ্যতার মোকাবেলায় ইসলাম কত মহান এটা ভাবা যায় না।
![]() |
| আধুনিক সভ্যতার মোকাবেলায় ইসলাম |
কিন্তু কিছু গুষ্টির দিকে তাকালে দেখা যায় সম্পদের অবাক অপচয় বর্তমান পৃথিবীর 800 কোটি মানুষের মোট প্রায়ই ৪০০ কোটি মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে । ২০০ কোটি মানুষ রাতে না খেয়ে ঘুমায় 200 কোটি মানুষ বিশুদ্ধ পানি পায় না 2 লক্ষ মানুষ প্রতিদিন চিকিৎসা মারা যায় ৩০০ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।আধুনিক সভ্যতার মোকাবেলায় ইসলাম কত উপরে।
![]() |
| আধুনিক সভ্যতার মোকাবেলায় ইসলাম |
আর তাওহীদ ও জুলুম একসাথে থাকতে পারেনা তাওহীদ প্রতিষ্ঠার অর্থ আল্লাহ প্রদত্ত বিধানের প্রতিষ্ঠা আর মহান রবের বিধান অনুযায়ী মানুষের জন্য সর্বোচ্চ কল্যাণ বয়ে আনা। ১২০০ বছরে ইসলামী সালতানাতের মাধ্যমে ইসলাম যে আদালত ও আখলাক প্রতিষ্ঠা করেছিল বর্তমান দুনিয়া আর তার কিছুই করতে পারিনি। ইসলাম মানুষকে সব ধরনের মিথ্যা থেকে মুক্তি দিয়েছিল অথচ এখন গণতন্ত্র ও নিষ্ঠুর পুঁজিবাদ কোটি কোটি মানুষের রক্ত চুষে নিচ্ছে মানুষের অভাব ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে।আধুনিক সভ্যতার মোকাবেলায় ইসলাম বিজয়ি।
![]() |
| আধুনিক সভ্যতার মোকাবেলায় ইসলাম |
এখনো এক শ্রেণীর শাসক আছে যারা মানুষের স্বাধীনতা হরণ করছে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার ও অব্যবস্থাপনার যাতা কলে। পৃষ্ঠ বনি আদম এই সংকটময় সময়ে জুলুমের শীর্ষকে পরি পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে হবে এই উম্মাকে কিন্তু আমরা ব্রিটিশদের তৈরি ইসলাম পালন করছি যে ইসলামের ক্ষমতা নেই বাতিলের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলার।আধুনিক সভ্যতার মোকাবেলায় ইসলাম মানবতার সেরা জীবন বিধান।
আমাদের শায়েখরা ব্যক্তিগত চরিত্র সংশোধন করতে হাজার হাজার বই লিখেছেন ওয়াজ করেছেন যার ফলাফল শুন্য।ইসলাম সুধু ব্যক্তির চরিত্র সংশোধনে কামনা করেনা বরং সমগ্র মানবতার সমষ্টিগত জীবনের বিপ্লবী পরিবর্তন করায় তার মূল উদ্দেশ্য। ইসলাম মানুষের উপর মানুষের শাসনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে।আধুনিক সভ্যতার মোকাবেলায় ইসলাম বিনা প্রশ্নে বিজয়ী।
![]() |
| আধুনিক সভ্যতার মোকাবেলায় ইসলাম |
শাসকগণ যে দায়িত্ব পেয়েছেন তা তাদের নিকট আমানত ।সুতরাং কোনো নাগরিককে তারা দাস বানাতে পারে না। আল্লামা ইকবালের কথা অনুযায়ী শাসকরা শুধু প্রতিনিধিত্ব করবেন তাদের কর্তব্য হলো আল্লাহর আইনের অনুসরণ করা ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেছিলেন "আমি যতকাল তোমাদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করব তোমরা ততক্ষণ আমার আনুগত্য করবে, আর আমি যদি আল্লাহর আনুগত্য না করি তাহলে তোমাদের উপর আমার আনুগত্য করার বাধ্যবাধকতা থাকবে না" ইসলামের এই শাসন নীতি প্রমাণ করে যে ইসলাম একটি জুলুম প্রতিরোধে প্রতিরোধী জীবন ব্যবস্থ।আধুনিক সভ্যতার মোকাবেলায় ইসলাম কী চেন?
ইসলাম জনগণ কি শুধু স্বৈরাচারী শাসক থেকে মুক্তি দেয় না বরং সাম্রাজ্যবাদীদের আগ্রাসন থেকে মুক্তি করে ইসলাম মর্যাদা ও শক্তির ধর্ম তাই সাম্রাজ্যবাদীরা এসে মানুষের অধিকার হরণ করুক এটা ইসলাম কখনো সহ্য করবে না। ইসলাম মানুষকে সহজ বিধান প্রণয়ন করে আর সর্বদা নির্দেশ করে জুলুমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার জন্য।ইসলামই পারে দুনিয়া থেকে স্বৈরাচার ও সাম্রাজ্যবাদকে মুছে ফেলতে, ইসলাম মানুষকে দিয়েছে তার প্রাপ্য মর্যাদা ,স্বাধীনতা ,চিন্তা ও ধর্ম পালনের স্বাধীনতা। ইসলাম মানুষকে সংহতি ও সম্মান রক্ষার নিরাপত্তা দেয় আজ পর্যন্ত যা দিতে পারেনি কোন সভ্যতা।আধুনিক সভ্যতার মোকাবেলায় ইসলাম সেরা যা প্রমানিত।





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আসসালামু আলাইকুম
আপনাদের সকলকে আমাদের রাইটার ফারুকী ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আন্তরিক মোবারকবাদ ও শুভেচ্ছা ।আমরা বর্তমান আধুনিকতা নামক অশ্লীলতা এবং বেহায়াপনার বিরুদ্ধে ইসলামের পক্ষে কাজ করার সুদূর প্রসারীর চিন্তা ভাবনা এবং অপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি ।সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্যকে মানুষের কাছে ফুটিয়ে তোলা এবং ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব মহত্ব মানব মনে স্থাপন করে দুর্নীতি এবং অপরাধমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখি আমরা ।আমরা বিশ্বাস করি খোলাফায়ে রাশেদিনের চেতনার অনুরূপ চরম এবং তীব্র দায়িত্ব অনুভূতি জাগ্রত করার মাধ্যমে সমাজের নেতৃত্বে যোগ্য ব্যক্তিদের পদার্প সম্ভব। আমরা চাই তোমাদের মত যুব সমাজ আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে ইসলামের সুমহান বাণীকে পৃথিবীবাসীর কাছে পৌঁছে দেবে। আমাদের সহযোগী তোমরাই হবে আমরা চাই আমাদের সাথে এবং আমাদেরকে সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা করুন ।তোমাদের মতামত আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা।