বই পড়ার বিশেষ টেকনিক
সার্ভে: কোন বই পড়ার আগে জেনারেল সার্ভে করা দরকার যে বইটি কি সম্পর্কে? বইতে আপনার কাঙ্ক্ষিত তথ্য কতটুকু আছে ? বইটি পড়া আপনার জন্য কতটুকু জরুরী? আপনার প্রয়োজন কতটুকু পূরণ হবে ?এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোন একটি বই হাতে নেওয়ার পর তা পড়ার প্রয়োজন আছে কিনা তা কিভাবে বুঝবেন?এই প্রশ্নের উত্তর খুবই সহজ
আর তা হচ্ছে বইটির শিরোনাম সূচিপত্র প্রকাশকের কথা পড়লে বইটি সম্পর্কে ধারণা হয় যে কোন বিষয় সম্পর্কে বইটি লিখিত। এবং কোন অধ্যায় কোন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে বইয়ের ভূমিকা কৃতজ্ঞতা স্বীকার মুখ বন্ধ পড়েও বই সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা অর্জন করা যায। বই পড়ার বিশেষ টেকনিক
![]() |
| বই পড়ার বিশেষ টেকনিক |
আপনি বইটি পড়ে কি জানতে চান: বইটি পড়ে আপনি কি জানতে চান এই সম্পর্কে একটি প্রশ্নমালা তৈরি করুন।
পড়া: বইটি পড়ে কি জানতে চান আপনার কাছে পরিষ্কার হওয়ার পর বইটি পড়া শুরু করুন পড়ার ক্ষেত্রে স্কিমিং বা স্কিনিং কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। বই পড়ার বিশেষ টেকনিক
স্মরণ করার চেষ্টা বইটি পড়া শেষ হওয়ার পর এবার কি পড়লেন এবং কতটুকু বুঝলেন তা স্মরণ করার চেষ্টা করুন
পুনরায় পড়া বইটি পড়া শেষে কি পড়লেন তার স্মরণ করার চেষ্টা করার সময় দেখবেন কিছু পয়েন্ট ভালো ভাবে মনে আছে। আর কিছু পয়েন্ট কিছুটা মনে আছে কিন্তু পুরোপুরি মনে করতে পারছেন না। আবার কিছু পয়েন্ট একদম মনে আসছে ন।তাই বইটি আবার পড়ুন দেখবেন এবার সেসব পয়েন্ট মনে আসছিল না তা ভালোভাবে মনে আসবে।
বই পড়ার আগে কতিপয় বিষয় লক্ষ্য করুন কোন বই পড়ার আগে কয়েকটি বিষয় দেখতে হয়ঃ বই পড়ার বিশেষ টেকনিক
- লেখকের নাম
- শিরোনাম সাবটাইটেল
- প্রকাশকের তারিখ
- ব্লাড
- প্রকাশের তারিখ
- সূচিপত্র
- তথ্যপঞ্জি
- ইনডেক্স
কিভাবে বই পড়বেন: বই পড়ার কয়েকটি ধরনের আছেঃ
- সিলেক্টিভ রিডিং
- স্কিম রিডিং
- স্কিনিং রিডিং
- বিস্তারিত পড়া
- বিশ্লেষণ
বই পড়ে বুঝতে হলে: সাধারণত কোন বইয়ের টেক্সট পড়ে অর্থ বোঝার ক্ষেত্রে কয়েক ধরনের অর্থ প্রক্রিয়া আছেঃ বই পড়ার বিশেষ টেকনিক
- Concepital meaning :the meaning a word can have of its own
- prepositional meaning:the meaning a sentensce can have of its own
- contexttual meaning:the meaning a sentense cqan have only when in context
- pragmatic meaning:the meaning a sentence has only as part of thr interaction between writer and reader
কোন একটি বই পড়ে বুঝতে হলে বিশেষ শব্দগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে প্রত্যেক বই বা প্রবন্ধে কিছু বিশেষ শব্দ থেকে যা বক্তব্য বুঝতে সাহায্য করে অন্য ভাবে বলা যায় উক্ত শব্দ সমূহ জানা না থাকলে বই পড়ে বোঝা যায় । তবে প্রথমবার বোঝা আসুক বা না আসুক পুরো প্রবন্ধ পরা উত্তম দ্বিতীয়বার পড়ার সময় অপরিচিত শব্দ জানার চেষ্টা করতে হবে। বই পড়ার বিশেষ টেকনিক
আপনি বই পড়ে কেমন বুঝেন পর্যালোচনা করুন: আপনি কোন বই পড়ে কেমন বুঝেন তা নিজেই পর্যালোচনা করতে পারেন এ বিষয়ে নিম্নে গতিবে প্রশ্ন করা হলোঃ বই পড়ার বিশেষ টেকনিক
- প্রশ্নের উত্তর গুলোর হ্যাঁ এবং না এর মাধ্যমে আপনি নিজেকে যাচাই করুন
- আপনি কোন কিছু পাঠ করার পর বুঝতে পারবেন কিনা?
- কোন কিছু পাঠ করলে সাধারণত কত ভাগ মনে থাকে?
- পড়তে আনন্দ না লাগলে পড়তে মন চায় কিনা?
- পড়ার সময় হাইলাইটের ব্যবহার করেন কিনা?
- পড়ার সময় নোট করার অভ্যাস আছে কিনা?
- বই পড়ার পরে লেখক মৌলিক কি কথা বলতে চেয়েছেন তার অনুধাবন করতে পারেন কিনা?
- আপনি বিশেষ কোন তথ্য জানার জন্য কোন বই পড়লে সংস্কৃত তথ্য সহজে বের করতে পারেন কিনা?
- পড়ার পর সারাংশ অনুধাবন করতে পারেন কিনা?
বই পর্যালোচনা: আপনি কোন একটি বহিঃপ্রবন্ধ পাট শেষে নিজেকে প্রশ্ন করুন
- আপনি উক্ত বই প্রবন্ধ পর থেকে আনন্দ পেয়েছেন? পড়ার সময় কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন?
- লেখাটি কি সম্পর্কে আপনি কি বুঝতে পারছেন?
- লেখকের কোন পয়েন্ট গুলো আপনার সবচেয়ে ভালো লেগেছে?
- প্রবন্ধের মূল কথাগুলো কয়েক সপ্তাহ পরেও মনে থাকবে কিনা?
- কথাটি অপরিচিত শব্দ পেয়েছেন এবং অভিযান দেখে তা জানার চেষ্টা করেছেন? কঠিন প্যারা শব্দগুলো বুঝতে সক্ষম হয়েছেন কিনা?
বই পড়ে বুঝার জন্য কয়েকটি পরামর্শঃ
পড়ার আগ্রহ পড়ার আগ্রহ না থাকলে কোন কিছু পড়ে লাভ নেই কোন ছাত্র-ছাত্রী যদি কোন বিষয় জানতে আগ্রহী হয় তাহলে তা পড়ার জন্য তীব্র আকাঙ্খা থাকে যার ফলে সহজে বুঝতে পারা যায়।
![]() |
| বই পড়ার বিশেষ টেকনিক |
পড়ার সক্রিয় অংশগ্রহণ: মনে রাখতে হবে কেউ কাউকে পরিয়ে দিতে পারে না ।নিজের খাওয়া নিজেকে খেতে হয়। নিজের ঘুম নিজেকে ঘুমাতে হয় ।অনুরূপভাবে কেউ কারো পড়িয়ে দিতে পারে না নিজের পড়াশোনার ব্যাপারে নিজেকেই সিরিয়াস থাকতে হবে তাহলে কোন প্রবন্ধ বই পড়লে সহজে বোঝা যাবে।
![]() |
| বই পড়ার বিশেষ টেকনিক |
টেক্সট বই সম্পর্কে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করুন: কোন বই কতটুকু বুঝেছেন আলোচনা করুন
ভুল থেকে শিখতে হবে
আমি জানিনা এই কথাটা অকপটে স্বীকার করতে হবে
পড়তে হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিশেষভাবে পড়তে হবে
যেসব শব্দ বুঝেন না তাতে ডাক দিতে হবে যে বইটি পড়েছেন তা যদি আপনার মালিকানাধীন হয় তাহলে বই পড়ার সময় বইয়ের মধ্যে প্রয়োজনে অংশ হাইলাইটের বা পেন্সিল দিয়ে নোট করতে পারেন
প্রশ্ন নোট করা: বই পড়ার সময় যেসব প্রশ্ন আপনার মনে জাগ্রত হইতে নোট করুন এবং উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন
সারাংশ বের করা: সমস্ত বই পড়সে পড়া শেষে উক্ত বইয়ের কথা বাণিজ্যাজ বের করার চেষ্টা করুন বইটি পড়ে কি বুঝলেন তা নোট করে রাখুন।
বিষয়ে আরও পড়া: আপনি কোন একটি বই পড়া শেষে শেষ করলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর আরো বই পড়তে পারেন কোন ব্যক্তি বিষয়ে পড়াশোনার সময় উক্ত পয়সার উপর লিখিত বিভিন্ন গ্রন্থকারের বই পড়লে বিষয় সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার হয়। বই পড়ার বিশেষ টেকনিক
অভিধান সাথে রাখুন: কঠিন শব্দ বলি অর্থ জানার জন্য অভিধানের সাথে রাখা ভালো তাহলে কোন কোন শব্দ পেলেই তার অর্থ তালাশ করা যায় :, কোন বই প্রবন্ধ পড়া শেষ হলে পুরো বই বা প্রবন্ধ পড়ে কি বুঝেছেন তা স্মরণ করার চেষ্টা কর। যদি স্মরণ করতে পারেন তবে আপনার পড়াটা তুলনামূলক ভালো হয়েছে আর যদি না হয় তবে আপনি পড়ুন পড়া শেষে সকল প্রশ্ন মনে রাখার চেষ্টা করার কোন প্রয়োজন নেই । বই পড়ার বিশেষ টেকনিক
অভিজ্ঞ ব্যক্তি শিক্ষক অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নির্দেশনা কে গুরুত্ব দিতে হবে: শিক্ষকরা অনেক বেশি অভিজ্ঞ একটি কথা প্রচলিত আছে যে ভালো শিক্ষকের এক ঘন্টার নির্দেশনা তার চেয়ে বেশি কার্যকর যা এক সপ্তাহে একজন ছাত্র পড়বে। বই পড়ার বিশেষ টেকনিক.
বই পড়ার বিশেষ টেকনিক
বই পড়ার বিশেষ টেকনিক
বই পড়ার বিশেষ টেকনিক
বই পড়ার বিশেষ টেকনিক
বই পড়ার বিশেষ টেকনিক



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আসসালামু আলাইকুম
আপনাদের সকলকে আমাদের রাইটার ফারুকী ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আন্তরিক মোবারকবাদ ও শুভেচ্ছা ।আমরা বর্তমান আধুনিকতা নামক অশ্লীলতা এবং বেহায়াপনার বিরুদ্ধে ইসলামের পক্ষে কাজ করার সুদূর প্রসারীর চিন্তা ভাবনা এবং অপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি ।সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্যকে মানুষের কাছে ফুটিয়ে তোলা এবং ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব মহত্ব মানব মনে স্থাপন করে দুর্নীতি এবং অপরাধমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখি আমরা ।আমরা বিশ্বাস করি খোলাফায়ে রাশেদিনের চেতনার অনুরূপ চরম এবং তীব্র দায়িত্ব অনুভূতি জাগ্রত করার মাধ্যমে সমাজের নেতৃত্বে যোগ্য ব্যক্তিদের পদার্প সম্ভব। আমরা চাই তোমাদের মত যুব সমাজ আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে ইসলামের সুমহান বাণীকে পৃথিবীবাসীর কাছে পৌঁছে দেবে। আমাদের সহযোগী তোমরাই হবে আমরা চাই আমাদের সাথে এবং আমাদেরকে সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা করুন ।তোমাদের মতামত আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা।