ভূমিকাঃ
আমরা বিভিন্ন ধরনের বক্তৃতা শুনে থাকি জনসভা সেমিনার সিম্পোজিয়াম রিসার্চ স্টুডেন্টদের প্রবন্ধ উপস্থাপন আলোচনা সভা ইত্যাদি বক্তব্যের স্থান শ্রোতা ও প্রোগ্রামের ধরন পার্থক্যের কারণে বক্তৃতা রাখার টেকনিকেরও কিছু পার্থক্য করতে হয়। বক্তব্যের টেকনিক শিখুন জেনে নিন।উদাহরণস্বরূপ বলা যায় দাওয়াতি সভা ,জুমার খুতব, শাহাদাতের আলোচনা সভা ,প্রতিবাদ সভ, সেমিনারের প্রবন্ধ উপস্থাপনের টেকনিক একই রকম না। বক্তব্যের টেকনিক শিখুন জেনে নিন আজকের আর্টিকেল থেকে।
বক্তব্যের লক্ষ্য ও বস্তু বিষয়বস্তু নির্ধারণঃ
কোন সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার আগে বক্তব্যের লক্ষ্য বিষয়বস্ত নির্ধারণ করা প্রয়োজন। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়া বক্তৃতা অগোছালো হয় এতে শ্রোতারা তাদের চাহিদা পূরণ করতে পারেন না।
বিষয়বস্তু নির্ধারণের আগে অবস্থা জানাঃ শ্রোতাদের বয়স, একাডেমিক মান,ও সময়সীমা এবং পরিবেশ পরিস্থিতির অনুসারে বক্তব্যের বিষয়বস্ত নির্ধারণ করতে হয়।আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শ্রোতাদের প্রয়োজনের প্রতি খেয়াল রেখে কথা বলতেন। বক্তব্যের টেকনিক শিখুন সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে সহজেই জেনে নিন।
![]() |
| বক্তব্যের টেকনিক শিখুন |
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একবার প্রশ্ন করা হলো হে আল্লাহর রাসূল কোন আমল সর্বোত্তম ?তিনি জবাব দিলেন নামাজ ,আরেক সময় একই প্রশ্ন করা হল তিনি জবাব দিলেন পিতা-মাতার সেবা,আরেক সময় একই প্রশ্ন করা হল তিনি জবাব দিলেন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ,অন্য আরেক সময় প্রশ্ন করা হলে তুমি জবাব দিলেন পারস্পরিক সম্পর্ক।হাদীস বিশারদগণ বলেন প্রশ্নকারী কিংবা যে স্থানে বক্তব্য দিয়েছেন তাদের প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এই জবাব ।আল্লাহর রাসুলের উক্ত সুন্নাহ থেকে বুঝা যায় প্রয়োজনীয়তার আলোকে বক্তব্যের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করতে হয়। বক্তব্যের টেকনিক শিখুন ।
বিষয়বস্তুর উপর ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করাঃ
আপনি যে বিষয়ে বক্তৃতা উপস্থাপন করবেন উক্ত বিষয়ের উপর ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা দরকার। প্রস্তুতি গ্রহণের দুটি দিক রয়েছে। বক্তব্যের টেকনিক শিখুন এ গুলো জেনে নিন খুব সাবলীলভাবে।
একাডেমিক প্রস্তুতিঃ
উপকরণ যথা ওভারহেড ,পাওয়ার পয়েন্ট, হ্যাণ্ড আউট ইত্যাদি প্রস্তুতি থাকতে হবে। একাডেমিক প্রস্তুতি ব্যতীত বক্তৃতায় অংশগ্রহণ করলে ভালো বক্তৃতা হবে না এটাই স্বাভাব। বক্তব্যের টেকনিক শিখুন এগুলো জেনে নিন খুব সহজে।
বক্তৃতা মুখস্ত না করা:
মুখস্ত বক্তৃতা শুনতে চায় না শ্রোতারা।তাদের কাছে একঘেয়ে মনে হয় সুতরাং কারো হৃদয় থেকে কথা শুনতে ভালোবাসে। অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রামে মুখস্ত বক্তিতা বেমানান। তাই বক্তৃতা মুখস্ত করার পরিবর্তে মূল পয়েন্টগুলো হৃদয়ে অঙ্কন করার চেষ্টা করা উচিত। বক্তব্যের টেকনিক শিখুন এবং জেনে আপনার কেমন লাগছে?
বক্তৃতা প্র্যাকটিস করাঃ
বক্তৃতা করার জন্য প্রথমে ধারণা নিতে হবে বক্তৃতার মূল পয়েন্টগুলোর উপর ।সেমিনার, আলোচনা সভার বলার মৌলিক বিষয় কি সেগুলো জানতে হবে। বক্তব্যের বিষয়বস্তু নির্ধারণ ও নোট প্রস্তুত করার পর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা অনুশীলন করা দরকার ।সম্ভব হলে অডিও ভিডিও ক্যাসেট ধারণ করে নিজের শোনা দরকা। বক্তব্যের টেকনিক শিখুন এবং জেনে আপনার কেমন লাগছে আমাদেরকে অবশ্যই জানাবেন।
- প্রথমত খেয়াল করা প্রয়োজন বক্তব্য সঠিক হয়েছে কিনা?
- দ্বিতীয়ত বক্তৃতা দেওয়ার সময় শরীর ঠিক ছিল কিনা ?
- পরিষ্কারভাবে শব্দ চয়ন হয়েছে কিনা?
- স্বাভাবিক আওয়াজে কথা বলা হয়েছে কিনা?
- খুব তাড়াহুড়া না করে আস্তে আস্তে বক্তৃতা রাখা
- বক্তৃতা দেওয়ার সময় চেহারা চিন্তামগ্ন ছিল কিনা?
- যদি কারো সামনে বক্তৃতা প্র্যাকটিস করার সুযোগ হয় তাহলে শ্রোতা কে জিজ্ঞাসা করা দরকার উপস্থিত কথাগুলো বুঝতে পারছেন কিনা ?
- আরও উন্নত করতে হলে কি দরকার?
প্রোগ্রামে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার প্রসঙ্গেঃ
বক্তৃতা প্রস্তুত করার সময় খেয়াল রাখা দরকার যে প্রোগ্রাম আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার কি ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে?ওভার হেড,প্রজেক্টর, কম্পিউটার প্রেজেন্টেশন ও হ্যান্ড আউট এর মধ্যে কোনটা করতে হবে তা আগেভাগে জানা দরকার। কিছুদিন আগে লন্ডনের প্রশিক্ষণ শিবিরে একজন আলোচক কম্পিউটার পাওয়ার প্রেজেন্টেশনের সুযোগ দেন এর ফলে বক্তার মনে বিষন্নতা আসে এবং তিনি এটাকে ভালোভাবে নেন নি।এজন্য প্রোগ্রাম এর পূর্বেই জানা থাকা উচিত কি ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে বলা হবে। বক্তব্যের টেকনিক শিখুন ।
![]() |
| বক্তব্যের টেকনিক শিখুন |
বক্তৃতা শুরুর আগে তাদের দিকে তাকানোঃ
বক্তৃতা শুরু আগে শ্রোতাদের প্রতি তাকিয়ে তাদের বসার পদ্ধতি এক নজরে দেখে নেয়া উত্তম।
বক্তব্যের টেকনিক শিখুন , জেনে নিন পয়েন্ট আকারে ।
- ভূমিকাতে মূল পয়েন্টগুলো বলা
- ভূমিকা আকর্ষণীয় হওয়া দরকার যেন শ্রোতারা মন আগ্রহ সৃষ্টি হয়
- ভূমিকাতেই শ্রোতার মাঝে এই বিশ্বাস প্রবেশ করাতে হবে যে আপনি যা বলছেন তা খুব জরুরী
- পর্যায়ক্রমে পয়েন্ট ব্যাখ্যা ও কথার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা প্রকৃত সাজানো গোছানো হওয়া দরকার তাহলে শ্রোতার পক্ষে বুঝতে সহজ হয়। এক্ষেত্রে পয়েন্টের ধারাবাহিকতা অপূর্ব সামঞ্জস্য রক্ষা করা দরকার।
- নতুন কোন তথ্য তুলে ধরা বক্তব্যে এমন কিছু তথ্য তুলে ধরা যাতে তাদের কাছে নতুন মনে হবে এবং তারা শিখতে আগ্রহী এবং জানতে আগ্রহী হবে।
- উপসংহারে হৃদয়গ্রাহী চমৎকার কথা বলে শেষ করা ।
- শেষ করার সময় মূল পয়েন্টগুলো আবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া ভালো
আত্মবিশ্বাস রাখা আরো নার্ভাস না হওয়াঃ
অনেকেই বক্তৃতা দেওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালে নার্ভাস হয়ে পড়েন এর ফলে জানা অনেক কথাই তার পক্ষে বলা সম্ভব হয় না। ইতিপূর্বে সাজানো বক্তৃতা গুছিয়ে বলতে পারেন না বক্তৃতা রাখার সময় নার্ভাস হয়ে পড়লে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা দরকার। বক্তব্যের টেকনিক শিখুন প্রত্যেকটি আপনার জানতে হবে পাশাপাশি প্র্যাকটিস করতে হবে।
হাসিখুশি থাকাঃ
সাধারণত বক্তৃতা রাখার সময় মুখে মিষ্টি হাসি থাকা দরকার কিন্তু বক্তিতা রাখার সময় কারো কারো মুখে এত ভারাক্রান্ত দেখা যায় যে শ্রোতাদের মনে বক্তার প্রতি করোনা তৈরি হয়। এগুলো প্রত্যেকটি বক্তব্যের টেকনিক শিখুন ।
নোট ব্যবহারঃ
সাধারণত বক্তব্যের বিষয়বস্তু অনুসারে বক্তব্যের আউটলাইন নির্ধারণ করা হয় এবং সংক্ষিপ্ত যোগ করা হয় ।বক্তৃতা দেওয়ার জন্য দাঁড়ালে কখনো কখনো নোট অনুসরণ করা সম্ভব হয় না। এ ধরনের ক্ষেত্রে কখনো কখনো বক্তৃতা ভালো হয় আর কখনো খুবই খারাপ হয়।কারণ নতুনভাবে উপস্থাপন করতে গিয়ে বক্তব্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা কঠিন তাই বক্তৃতা দেওয়ার সময় বক্তব্যের আউটলাইন অন্য অনুসরণ করা ভালো এই জন্য নোটের প্রতি মাঝেমধ্যে চোখ বোলাতে হয় তবে নোট দেখে দেখে পড়া উচিত নয়।তবে রিসার্চ স্টুডেন্টদের প্রবন্ধ থেকে দেখি বলতে হয়। বক্তব্যের টেকনিক শিখুন গুলু লিখে রাখেন।
শ্রোতাদের প্রশ্ন করতে উৎসাহ করাঃ
বক্তৃতা দেওয়ার সময় শ্রোতাদেরকে প্রশ্ন করে উৎসাহ করা দরকার এর ফলে তাদের মতামত জানা যায় এবং শ্রোতাদের মনোযোগ কেমন ছিল তা জানা যায় ।এ কথা মনে রাখার কোন সুযোগ নেই যে তাদের কোন প্রশ্নের জবাব জানা না থাকলে লজ্জিত হতে হবে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের টেকনিক শিখুন ।
সময়ের প্রতি খেয়াল রাখাঃ
কাউকে কাউকে দেখা যায় সময়ের প্রতি খেয়াল রাখে না বারবার স্লিপ দেওয়ার পরও বক্তৃতা সংক্ষেপ করেন না বা শেষ করেন না । শ্রোতাদের মধ্যে বিরক্তিভাব আসে পরবর্তী বক্তাদের সময় কমে যায় তাই প্রবন্ধ বা বক্তৃতা উপস্থাপনের জন্য আপনার সময় জেনে নিয়ে রেকর্ডিং করে সময় ভাগ করে নিন। বক্তব্যের টেকনিক শিখুন গুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি আপনাকে ঝামেলায় ফেলতে পারে যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন।
আগের বক্তার সাথে একমত দ্বিমত পোষণঃ
যেকোনো সেমিনার বা সবাই যারা বক্তব্য রাখে সকলের চিন্তা বা দর্শন একই হতে পারে না । কখনো কখনো বক্তব্য পারস্পরে চিন্তার মিল থাকে তাই এক্ষেত্রে আগের বক্তার বক্তব্যের সাথে সমর্থন করে নতুন তথ্য যোগ করতে হয় ।তবে পুনরাবৃত্তি পরিহার করা উচিত। বক্তব্যের টেকনিক শিখুন আপনার কেমন লাগলো?
নিজেকে সবজান্তা মনে না করাঃ
বক্তব্য দেওয়ার সময় শ্রোতাদের মর্যাদার প্রতি লক্ষ রেখে কথা বলা উচিত। নিজেকে অনেক কিছু জানেন এমন ভাব প্রকাশ করা ঠিক নয় তবে আত্মবিশ্বাসের সাথে আবেদনময়ী ভাষায় বক্তব্য উপস্থাপন করতে হবে।
নিজের গ্রেড নির্ধারণ ও নেতিবাচক কথা না বলাঃ
নিজেকে অনেক কিছুই জানেন এই ধরনের ভাব প্রকাশ করা যেমন ঠিক নাই তেমনি ভক্ত ধানের সময় নিজের নিজের নির্ধারণ করা উচিত নয় ।বলা যায় কেউ কেউ বক্তব্য শুরুতে বলে থাকেন আমি খুব ভালো বক্তা নই আপনারা আমার চেয়ে অনেক বেশি জানেন বিভিন্ন ধরনের ব্যস্ততার কারণে বক্তব্যের প্রস্তুতি নিতে পারি নাই । ইত্যাদি নেতিবাচক কথা না বলা।
সর্বশেষ কথা বারবার না বলাঃ
সর্বশেষ কথা বলার পরই উপসংহার টান উচিত কেউ বক্তব্যের শেষে বলেন আমি এখন সর্বশেষ পয়েন্ট বলতে চাই এ কথা বলে অনেকক্ষণ বলতে আবার বলেন আমার সর্বশেষ কথা হচ্ছে এরপর দীর্ঘক্ষণ বলতে দান করেন এরপর শ্রোতারা বিশ্বাস করতে পারেন না। সর্বশেষ কথা বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে একবার বলা উচিত।
বক্তৃতা পর্যালোচনাঃ
আপনি কোথাও বক্তৃতা রাখার পর তাদের কারণ মাধ্যমে বা নিজের বক্তৃতা পর্যালোচনা করতে পারেন ভবিষ্যতে আরো সুন্দরভাবে বক্তৃতা করার জন্য আত্ম পর্যালোচনা জরুরি। পর্যালোচনা জন্য কয়েকটি ভাব জেনে নিন।
আত্ম পর্যালোচনার পয়েন্টঃ বক্তব্যের টেকনিক শিখুন
- বক্তৃতা উপস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি কি নেওয়া হয়েছিল?
- বক্তৃতা রাখার সময় সময়ের প্রতি খেয়াল রাখা হয়েছিল কিনা?
- সে সকল পয়েন্ট বলা হয়েছে তার বিষয়বস্তু নির্ধারণ ছিল কিনা?
- বক্তৃতা রাখার সময় লজ্জা হয়েছে কিনা?
- বক্তৃতা রাখার সময় হয়েছে কিনা?
- ছোটদেরকে মনোযোগের সাথে বক্তৃতা শুনেছি শ্রোতাদের সাথে ভাবের বিনিময়ে ঘটে ঘটেছে?
- কন্ঠ স্পষ্ট ছিল কিনা?
- ওভারহেড বা অন্য ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে কিনা?
- সংক্ষিপ্ত ভূমিকা দিয়ে বক্তৃতা শুরু করা হয়েছিল কিনা?
- সংক্ষিপ্ত ভূমিকা দিয়ে বক্তৃতা শুরু করার সময় ভূমিকা সঠিক ছিল কিনা?
- সর্বশেষ উপসংহার টানা সম্ভব হয়েছিল ?
- তাদের সাথে চোখের যোগাযোগ ঠিক ছিল কিনা?
- একটি পয়েন্টের সাথে আরেকটি পয়েন্টের ধারাবাহিকতা ছিল কিনা?
- তাদের প্রশ্নোত্তর সন্তুষ্ট জনক ছিল কিনা?
- ভিন্নমত পোষণকারীদের প্রতি সঠিক শ্রদ্ধা ছিল কিনা?
- বক্তব্যের মূল কথা সেটা বুঝতে পেরেছে কিনা?
- বডি ল্যাঙ্গুয়েজ যথাযথ ছিল কিনা?
এগুলো বিচার করে আপনি
- ভালো নয়
- মোটামুটি
- ভালো
- খুবই ভালো
ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে নিজেকে রাখতে পারেন। বক্তব্যের টেকনিক শিখুন । টেকনিক প্রত্যেকটি আপনাকে সহযোগিতা করবে। বক্তব্যের টেকনিক গুলো আপনার কেমন লাগলো জানাবেন আমাদের কমেন্টে।


very important point
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আসসালামু আলাইকুম
আপনাদের সকলকে আমাদের রাইটার ফারুকী ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আন্তরিক মোবারকবাদ ও শুভেচ্ছা ।আমরা বর্তমান আধুনিকতা নামক অশ্লীলতা এবং বেহায়াপনার বিরুদ্ধে ইসলামের পক্ষে কাজ করার সুদূর প্রসারীর চিন্তা ভাবনা এবং অপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি ।সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্যকে মানুষের কাছে ফুটিয়ে তোলা এবং ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব মহত্ব মানব মনে স্থাপন করে দুর্নীতি এবং অপরাধমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখি আমরা ।আমরা বিশ্বাস করি খোলাফায়ে রাশেদিনের চেতনার অনুরূপ চরম এবং তীব্র দায়িত্ব অনুভূতি জাগ্রত করার মাধ্যমে সমাজের নেতৃত্বে যোগ্য ব্যক্তিদের পদার্প সম্ভব। আমরা চাই তোমাদের মত যুব সমাজ আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে ইসলামের সুমহান বাণীকে পৃথিবীবাসীর কাছে পৌঁছে দেবে। আমাদের সহযোগী তোমরাই হবে আমরা চাই আমাদের সাথে এবং আমাদেরকে সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা করুন ।তোমাদের মতামত আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা।